পুরোনো নেতৃত্বেই বিসিবি

পুরোনো নেতৃত্বেই বিসিবি

 

Laksam24News
বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনে বিজয়ীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হচ্ছে। বুধবারের নির্বাচনে গত দুই মেয়াদের সভাপতি নাজমুল হাসানও পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন -বিসিবি

ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার এক ঘণ্টা আগেই বিজয়োৎসব শুরু। বিকাল ৫টায় ভোট শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মিষ্টিমুখ-পর্ব শেষ। দেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী ক্রীড়া ফেডারেশন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনের ফল কী হতে যাচ্ছে, সংশ্লিষ্ট সবারই তা জানা ছিল।


বুধবার হলো শুধু আনুষ্ঠানিকতা। খালেদ মাহমুদ ও নাজমুল আবেদীন ফাহিমের মধ্যে লড়াইটা হয়ে রইল সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। খালেদ মাহমুদ পেয়েছেন ৩৭ ভোট, নাজমুল আবেদীন তিন ভোট। এছাড়া সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পেয়েছেন মাত্র দুই ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাইফুল আলম স্বপন সাত ভোট পেয়ে জিতেছেন।


ক্লাব কোটায় ৫৭ ভোটের মধ্যে যৌথ সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে জিতেছেন গত দুই মেয়াদের সভাপতি নাজমুল হাসান (৫৩)। এবারই তিনি প্রথমবারের মতো ভোটের লড়াইয়ে জয়ী হয়ে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদে এলেন। আগের কমিটির ১৯ জনই পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। নতুন মুখ ছয়জন। বুধবার বেসরকারিভাবে ভোটের ফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার। আজ দুপুরের পর চূড়ান্তভাবে ফল ঘোষণা হবে।


২৫ পরিচালকের ভোটে আজই সভাপতি নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে। নাজমুল হাসানই ফের বিসিবির মসনদে বসতে যাচ্ছেন। নবনির্বাচিত পরিচালকদের মধ্যে নাজমুল হাসান ছাড়া অন্য কারও সভাপতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।


এখন অপেক্ষা কে কোন বিভাগের দায়িত্ব পাবেন। নির্বাচনের পর দারুণ খুশি নাজমুল হাসান বলেন, ‘গত দুবার নির্বাচন হয়নি। আজ (বুধবার) দেখলাম মোটামুটি নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ ছিল। মানুষ ভোট দিয়েছে, এটাই বড় কথা। তবে আরও খুশি হতাম যদি আরও অনেক অংশগ্রহণ থাকত।’ এবার পরিচালনা বিভাগে নতুন মুখ ছয়জন। তারা হলেন-সালাউদ্দিন চৌধুরী, ইফতেখার রহমান, মনজুর কাদের, মনজুর আলম মনজু, ওবেদ রশিদ নিজাম ও তানভির আহমেদ টিটু।


আগেরদিন থেকেই বিসিবি চত্বরে সব প্রার্থীর সমর্থকদের উপচে পড়া ভিড়। ব্যতিক্রম ছিল শুধু নাজমুল আবেদীন ফাহিমের ক্ষেত্রে। কোনো ব্যানার নেই, সমর্থকও নেই। সকালে এসে নিজের ভোট দিয়ে তিনি বেরিয়ে যান। তেমন কিছু করারও ছিল না। এই বিভাগে ক্রিকেটার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মিলে ভোট ছিল ৪২টি। অথচ ২২ জনই পোস্টাল ব্যালটের আবেদন করেছেন।


একটি সূত্র জানিয়েছে, তাদের অধিকাংশই একটি হোটেলে ছিলেন। অথচ ভোট দিতে পোস্টাল ব্যালট চেয়েছেন। এর কারণ অনুমেয়। নাজমুল আবেদীন পেয়েছেন মাত্র তিন ভোট। তার সাবেক শিষ্য খালেদ মাহমুদ পেয়েছেন ৩৭ ভোট। হারের পর নাজমুল আবেদীন বলেন, ‘৪২ ভোটের মধ্যে মাত্র তিনটি ভোট, তবুও আমি বিব্রত নই।’


এদিকে ক্লাব ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ ৫৩টি করে ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন সর্বশেষ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও আবাহনীর কাউন্সিলর নাজমুল হাসান, আজাদ স্পোর্টিংয়ের এনায়েত হোসেন সিরাজ ও গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের গাজী গোলাম মুর্তজা। ৫১টি করে ভোট পেয়েছেন শেখ জামালের নাজিব আহমেদ ও শাইনপুকুরের ওবেদ রশিদ নিজাম। ৫০টি করে ভোট পেয়েছেন সূর্য তরুণের ফাহিম সিনহা ও ফেয়ার ফাইটার্সের ইফতেখার রহমান, ৪৯টি করে পেয়েছেন কাকরাইল বয়েজ ক্লাবের সালাউদ্দিন চৌধুরী ও ঢাকা এসেটসের মনজুর কাদের।


এছাড়া মোহামেডানের মাহবুবুল আনাম ৪৭ ও আসিফ শিফা ক্রিকেট একাডেমির মনজুর আলম মনজু ৪৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। ক্যাটাগরি-১ ঢাকা বিভাগের চারজনের মধ্যে দুজনই নিজে থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের কথা জানান। তবে নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ায় ভোটযুদ্ধে তাদের নাম ছিল।


এই বিভাগে জয়ী দুজন নাঈমুর রহমান ও তানভির আহমেদ ১৭টি করে ভোট পেয়েছেন। দুটি ভোট পেয়েছেন নাম প্রত্যাহার করা আশফাকুল ইসলাম। ২৫টি পদের মধ্যে সাতজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। আর দুজন এসেছেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোটায়। নির্বাচন হয়েছে ১৬টি পদে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ