মাইন উদ্দিন স্যার একজন নিবেদিত প্রান পরিশ্রমী শিক্ষক

মাইন উদ্দিন স্যার একজন নিবেদিত প্রান পরিশ্রমী শিক্ষক

মাইন উদ্দিন স্যার একজন নিবেদিত প্রান পরিশ্রমী শিক্ষক
মাইন উদ্দিন স্যার

শিক্ষকরা হলেন আমাদের জীবনে চলার পথে অন্যতম প্রধান পথপ্রদর্শক এবং অভিভাবকস্বরূপ। জীবনে চলার পথে কোনটা করা উচিত আর কোনটা উচিত নয় সেই শিক্ষা আমরা শিক্ষকদের কাছ থেকে পেয়ে থাকি। তাছাড়া বিশেষত ছাত্রজীবনে কি করতে হবে এবং সর্বোপরি কিভাবে করতে হবে এই ব্যাপারে তারা আমাদের পথনির্দেশনা দিয়ে থাকেন।


জীবনে পিতা-মাতার পরে স্থান হল শিক্ষকের। পিতা-মাতারা যেমন আমাদের জন্ম দেন, লালন পালন করেন তেমনি শিক্ষকরা আমাদের মনের দরজা উন্মুক্ত করে আমাদেরকে মানুষ হিসেবে গড়ে তোলেন। তাই জীবনে তাদের ভূমিকা অপরিসীম। বিদ্যালয় এবং বিদ্যালয়ের বাইরে উভয় জায়গায় আমরা নানান শিক্ষকদের সান্নিধ্যে আসি। তাদের মধ্যে নির্দিষ্ট কেউ কেউ আপন ব্যক্তিত্বের মহিমায় আমাদের মনে চিরস্থায়ী জায়গা করে নেন।


বলছিলাম কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার আল-আমিন ইনস্টিটিউটের সাহকারী শিক্ষক জনাব মাইন উদ্দিন স্যারের শিক্ষকতা জীবন নিয়ে। মানুষ গড়ার কারিগর হিসাবে কাজ করছেন প্রায় অনেক বছর ধরে। বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের তিনি সন্তানের মতই মমতা ও ভালবাসা দিয়ে আগলে রাখেন। তিনি শিক্ষার্থীদের সর্বদা ভাল-মন্দ বিষয়ে খোঁজ খবর রাখতে ভোলেন না শত ব্যস্ততার মাঝে। চলাফেরা ও জীবন যাপন করেন সাদামাটা ভাবে। নিজের আদর্শ ধরে রাখতে চান মৃত্যুর আগ পর্যন্ত।


তবে এদের সবার মধ্যে আমাদের যিনি সবথেকে প্রিয় শিক্ষক, তার নাম হলো মাইন উদ্দিন। আমরা বিদ্যালয়ের সকল ছাত্ররা তাকে মাইন উদ্দিন স্যার নামে চিনি।


শিক্ষার্থীদের ক্লাসের পড়া তিনি ক্লাসে শেষ করাতেন। যারা দুর্বল শিক্ষার্থী ছিলেন তাদেরকে বাড়িতে আলাদাভাবে পড়াতেন। শিক্ষার্থীদের তিনি গনিত, কৃষি ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে পড়াতেন। ৮ম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত অবস্থায় তিনি গ্রামের ছেলে-মেয়েদের বাড়িতে প্রাইভেট পড়াতেন। সেখান থেকেই তার শিক্ষকতায় আসার আগ্রাহ তৈরি হয়। তিনি শিক্ষকতাকে আদর্শ ও মহৎ পেশা হিসাবে বুকে ধারণ করেছেন। তিনি বলেন শিক্ষকতা শুধুমাত্র তার পেশাই নয়, বরং নেশাও। আমরা সকলে তার ক্লাসে কোন প্রকার গোলযোগ করিনা। ক্লাসের সব থেকে বেশি দুরন্ত ছাত্রটিও মাইন উদ্দিন স্যারের পড়ানো মন দিয়ে শোনে। তিনি শিক্ষকতাকে আদর্শ ও মহৎ পেশা হিসাবে বুকে ধারণ করেন।


জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এভাবে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকতে চান তিনি। একজন আর্দশ শিক্ষকের সকল গুণাবলি ওনার মধ্যে রয়েছে। ওনার জন্য রইল শুভ কামনা। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ